টুকিটাকি

শরতের সৌন্দর্য কাশফুল

শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসলো শরতের কাশফুল। কাশফুল শুভ্রতার প্রতীক, শরতের প্রতীক। প্রকৃতিতে কাশফুলের আনাগোনা দেখলেই আমরা বুঝতে পারি যে শরৎ ঋতু এসেছে! আর সাথে বেজে উঠে দুর্গা পূজার আগমনী বার্তা। শরৎ ও কাশফুল যেন একে অন্যের পরিচায়ক। কাশফুলের সাথে সাদা মেঘের মিতালি দেখা যায় পুরো শরৎকাল জুড়েই।
শরৎ ঋতুতে বাংলাদেশের নদনদীর কূলে কূলে সাদা কেশর দুলিয়ে হেসে ওঠে কাশফুলেরা। বড় বড় নদীর চরগুলোর ওপর থেকে পানি সরে যেতেই সেসব চরে কাশফুলের মাতামাতি শুরু হয়।কাশফুলের রূপটাই যেন সাদা মেঘের মতো।বাতাসে কাশফুল দুললে মনে হয় মেঘেদের খেলা চলছে। শরতের কাশফুল প্রকৃতিতে নিয়ে আনে এক ভিন্ন রূপ।
কাশফুল একধরনের বহুবর্ষজীবী ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum spontaneum। এরা উচ্চতায় সাধারণত ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।এর আদিনিবাস রোমানিয়া।নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়।বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং রঙ ধবদবে সাদা।
গ্রাম এলাকার জ্বালানি ও কম দামে পানের বরজের ছাউনি হিসেবে কাশফুলের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, কাশফুলের বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন- পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে পিত্তথলির পাথর দূর হয়। কাশফুলের মূল বেটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়। এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশফুলের মূল ব্যবহৃত হয়।
কাশফুল মনের কালিমা দূর করে। অর্থাৎ কাশফুল শুভ্রতা অর্থে ভয় দূর করে শান্তির বার্তা বয়ে আনে। শুভ কাজে কাশফুলের পাতা বা ফুল ব্যবহার করা হয়। সাহিত্যে কাশফুলের কথা এসেছে নানাভাবে।
দুরন্ত প্রতিনিধি – চৈতি দাস অদিতি

Leave a Reply