টুকিটাকি

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ

বৃক্ষ হলো আমাদের পরম বন্ধু। অথচ আমাদের নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে পৃথিবী প্রতিনিয়ত বৃক্ষ শূন্য হয়ে পড়ছে। যার দরুন আমাদের জীবনধারণের অন্যতম নিয়ামক অক্সিজেনের সরবরাহ ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে, বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। অথচ জীবন জীবিকার স্বার্থে মানবজীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বৃক্ষের গুরুত্ব উপলব্ধি করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘আমরা যেমন স্নান করি এবং শুভ্রবস্ত্র পরিধান করি তেমনি বাড়ির চারপাশে যত্নপূর্ব একটি বাগান করে ভদ্র প্রথার একটি অবশ্য কর্তব্য অজ্ঞ হওয়া উচিত।’

পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছপালার অবদান অপরিসীম। তাছাড়া গাছপালা বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে, নদী ভাঙ্গন থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে, ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আমাদের বাড়িঘর রক্ষা করে। মূলত পৃথিবীতে বসবাসের উপযোগী করে তোলার জন্য বনাঞ্চল সৃষ্টি ও বন সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক।

যেকোনো দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে দেশের মোট ভূভাগের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অবশ্যক। অথচ বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ মোট ভূভাগের মাত্র ১৭ শতাংশ যা অত্যন্ত প্রতুল ও হতাশাপূর্ণ। তা সত্ত্বেও দেশ জুড়ে বৃক্ষনিধন চলছেই প্রতিনিয়ত। তাই অধিকারে বৃক্ষরোপনের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে , বৃক্ষ নিধন রোধে মানুষের হীন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সর্বোপরি আমাদের জীবনে বৃক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে প্রতিটি মানুষের কাছে। এক্ষেত্রে জাতীয় গণমাধ্যম গুলোর পাশাপাশি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও এই মহৎ উদ্যোগে অংশীদার হতে পারে এবং এর ফল অত্যন্ত প্রত্যাশিত হবে বলেই ধারণা করা যায় সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায় যে বৃক্ষরোপণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। তাছাড়া আমরা সকলে যদি বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ উৎসাহী হই এটি আমাদের সকলের জন্যই মঙ্গলজনক। আমাদের সকলের উচিত বেশি বেশি বৃক্ষরোপন করা।

– তনুশ্রী দেবনাথ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।