শুধু মাটির গাছ নয়, ওয়াটার প্লান্ট দিয়েও সুন্দরভাবে ঘর বা বাগান সাজানো যায়। অনেক ক্ষেত্রেই যারা গাছ পছন্দ করেন কিন্তু রাখার জায়গা নেই, তারা এই ধরনের গাছ বেছে নিতে পারেন। কারণ টবে ঝুলিয়ে দিলে কিংবা একটি ছোট পাত্রে পানি দিয়ে রেখে দিলেই নিজের থেকে বাড়তে থাকে এই ধরনের গাছ। মাঝেমধ্যে পানি বদলানো এবং পাতা, ডাল ছেঁটে ফেলা ছাড়া বিশেষভাবে কোনো যত্নও নিতে হয় না এসব গাছের।
৩. বেগোনিয়া
এই গাছ জলে জন্মানোর জন্য। বেগোনিয়াসের ডালপালাগুলো পুরু, রসালো ও কাণ্ডগুলো খুব নতজানু হয়। একটি পাতা দাঁড়ায় নতুনভাবে এই গাছ উৎপন্ন হয়। এই গাছের শিকড় তৈরি হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এই গাছের পানি ৭ দিন পরপর পাল্টাতে হয়। নয়তো পানিতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে এবং গাছের পাতা নষ্ট হতে পারে।
৪. কোলিয়াস
প্রতি বসন্তে কোলিয়াসের বহু নতুন নতুন জাত বাজারে আসে। এই উদ্ভিদের রঙিন পাতার জন্য এই গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে বাগান বা ঘর সাজানো যায়। এই গাছের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একটি ডাল থেকে নতুন গাছ উৎপন্ন হওয়া খুব সহজ। এর জন্য একটি ছয় ইঞ্চি ডাল কেটে নিন, এরপর সেই ডালটি জলের মধ্যে চার ইঞ্চি ভেতরে রাখুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শিকড় তৈরি হতে শুরু করবে। কিছু সময় পরপর এই গাছের পানি বদলাতে হয়।
৫. লাকি ব্যাম্বু
অতি জনপ্রিয় গাছ হলো লাকি ব্যাম্বু। এই ধরনের বাঁশগাছ অনেকেরই খুব পছন্দের। মাটি ছাড়া শুধু পানির মধ্যেই বেড়ে ওঠে এই গাছ। অনেকে মনে করে থাকেন, এই গাছ ভালো ভাগ্য ডেকে আনে। এই গাছটিকে যখন কোনো কাচের বয়ামে রাখবেন তখন খেয়াল রাখবেন যাতে এর শিকড়গুলো ছোট ছোট অথচ ভারী পাথর দিয়ে চাপা দেওয়া থাকে। কারণ এই গাছের ওপরটা ভারী হওয়ার জন্য শিকড়টি কিছু দিয়ে চাপা দেওয়া না থাকলে উল্টে যেতে পারে। এই গাছের পানি নিয়মিত বদলাতে হয়।
৬. স্পাইডারওয়ার্ট
স্পাইডারওয়ার্ট উদ্ভিদ হলো খুব কম যত্নে রাখা তবে অত্যন্ত সুন্দর এক ইনডোর প্লান্ট। এটি খুব সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এই গাছের যেমন কম যত্নের প্রয়োজন তেমনই এই গাছ বেড়ে ওঠে হালকা-মাঝারি আলোতে।
-দুরন্ত ডেস্ক





