মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কিন্তু লড়াইয়ের আগেই সেরা তারকা রবসন রোবিনহোকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বসুন্ধরা কিংস। এই ব্রাজিলিয়ানের অভাব খুব করে টের পেল বসুন্ধরা কিংস। আক্রমণে বিবর্ণতা, সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিল শুরুতে।
দশম মিনিট নিজেদের ভুলে আচমকা গোল খেয়ে বসে কিংস। তারিক কাজীর ব্যাক পাস শ্রাবণ নিজেদের খেলোয়াডের দিকে বাড়ালেও তা দৌড়ে এসে পেয়ে যান ভোজিস্লাভ বালাবানোভিচ। তার শট ছয় গজ বক্সের ভেতরে বাবুরবেকের পায়ে লেগে চলে যায় বক্সের অন্যদিকে। দৌড়ে এসে ফাঁকা পোস্টে বল জালে পাঠান রিগান ওবেং।
পিছিয়ে পড়া কিংস ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু রোবিনহোর অভাব বারবার ফুটে উঠেছে। মধ্যমাঠ থেকে সেভাবে গোছাল আক্রমণে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা। দু-একবার গেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি দরিয়েলতন-রাকিবরা। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির আগে টানা দুটি আক্রমণে যায় কিংস। বিশ্বনাথের ক্রস সাদের হেড মাজিয়া গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে এমফন উদো শট নিলে তা চলে যায় বাইরে।
মধ্যবিরতি থেকে ফিরেই দারুণ সুযোগ আসে কিংসের সামনে; কিন্তু আবারও ব্যর্থ এমফন উদো। মিগেলের বাড়ানো পাস বক্সে পেয়ে যান এমফন। দেখেশুনে শটও নিয়েছিলেন; কিন্তু তা দারুণ দক্ষতায় ফিস্ট করে ফেরান মাজিয়া গোলরক্ষক।
দুই মিনিট পরেই বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বনাথ ঘোষের প্রচেষ্টা এবারও ফেরান গোলরক্ষক হুসাইন শরীফ। ৫১ মিনিটে আরো একবার চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান মাজিয়ার গোলরক্ষক। এমফনের ক্রস মাজিয়ার বক্সে ফাঁকায় পেয়েছিলেন বিশ্বনাথ, তার শট লাফিয়ে ফেরান শরীফ।
৬৮ মিনিটে রাকিব ও সোহেল রানাকে তুলে শেখ মোরসালিন ও রফিকুল ইসলামকে নামান অস্কার ব্রুজোন। মাঠে নামার কয়েক মিনিট পরেই দারুণ সুযোগ আসে মোরসালিনের সামনে। এমফনের বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়েছিলেন মোরসালিন; কিন্তু তার দুর্বল শট ফেরান গোলরক্ষক হুসাইন শরীফ। অবশেষে ৮০ মিনিটে পেয়ে যায় সমতা ফেরানো গোল। মোরসালিনের কর্নারে দূরের পোস্টে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন বাবুরবেক। ৮৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া গোলটিও পেয়ে যায় কিংস। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মিগেলের শট দূরের পোস্টে জড়িয়ে যায়। তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় স্বস্তির জয়। কিংস অ্যারেনায় সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখল বসুন্ধরা কিংস।
-দুরন্ত ডেস্ক





