বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের সি গ্রুপে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যেখানে প্রথমার্ধেই ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় টাইগ্রেসরা এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল যুক্ত করে, ম্যাচের ১০ম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, ১৫মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার সুন্দর শটে দ্বিতীয় গোলটি আসে, ৪২মিনিটে কোহাতি কিসকুর হেডারে তৃতীয় গোল হয়, প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে তহুরা খাতুন ৪৫+১ ও ৪৫+৪ মিনিটে ধারাবাহিক দুই গোল করে স্কোর ৫-০ তে নিয়ে যান, দ্বিতীয়ার্ধে ৬০মিনিটে শামসুন্নাহার তার দ্বিতীয় গোলটি করেন এবং ৭৫মিনিটে মুনকি আক্তার সপ্তম গোলটি করে ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোর ৭-০ তে নিয়ে যান, বাংলাদেশের এই জয়ে কোচ পিটার বাটলারের কৌশলগত পরিকল্পনা ও দলের ঐক্যবদ্ধ পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আগামী ২ জুলাই স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ী হলে বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হয়ে সরাসরি ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে, এই ম্যাচে বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক ফুটবল, সংগঠিত ডিফেন্স এবং মিডফিল্ডের দারুণ কন্ট্রোল পুরো ম্যাচজুড়ে বাহরাইনকে কোন সুযোগই দেয়নি, বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপা চাকমাও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে ক্লিন শিট ধরে রেখেছেন, মাঠের প্রতিটি খেলোয়াড় তাদের সর্বোচ্চ প্রদর্শন করায় বাহরাইন সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থায় পড়ে যায়, বাংলাদেশের এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জয়ই নয় বরং নারী ফুটবলে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, গত কয়েক মাস ধরে দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও কোচ পিটার বাটলার দলকে এক সুতোয় গেঁথে তুলেছেন এবং তার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও কঠোর প্রশিক্ষণের ফল আজ মাঠে প্রতিফলিত হয়েছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত প্রস্তুতি ম্যাচগুলোও এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা টাইগ্রেসদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে, এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে এবং আগামী ম্যাচগুলোর জন্য দারুণ মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী ভক্তদের জন্য এই জয় অত্যন্ত গর্বের এবং নারী ফুটবলের উন্নয়নে এটি একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে, এখন সব নজর ২ জুলাইয়ের মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচের দিকে, যেখানে জয়ী হলে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে সরাসরি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উত্তীর্ণ হবে।
– ইমরুল কায়েস





