জানার আছে অনেক কিছু

সান্ডা – অজানা এক বালুচরবাসী

সান্ডা একধরনের বিরল মরুভূমি-প্রাণী, যা দেখতে অনেকটা টিকটিকির মতো হলেও স্বভাবে একেবারে আলাদা। প্রকৃতির বিস্ময় এই প্রাণীটি সম্পর্কে আমাদের জানার সুযোগ খুবই কম।

সান্ডার বৈজ্ঞানিক নাম Uromastyx hardwickii। এটি Agamidae গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। ইংরেজিতে একে বলা হয় Spiny-tailed Lizard, যার অর্থ ‘কাঁটাযুক্ত লেজবিশিষ্ট টিকটিকি’। এদের দেহ মোটা, পায়ের গঠন শক্তিশালী এবং লেজে ধারালো খাঁজ থাকে— যা শত্রু প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সান্ডা মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের শুষ্ক ও বালুময় অঞ্চলে দেখা যায়। ভারতের রাজস্থান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, আরব দেশ এবং উত্তর আফ্রিকার মরুভূমিগুলোতে এদের বেশি দেখা মেলে। বাংলাদেশে এদের প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় না।

সান্ডা সাধারণত উদ্ভিদভোজী প্রাণী। ঘাস, শস্য, গুল্মের পাতা ও ফুল খেয়েই এরা বেঁচে থাকে। কিছু প্রজাতি মাঝে মাঝে পোকামাকড়ও খায়। তারা দিনের বেলায় সক্রিয় থাকে এবং রাতে বা অতিরিক্ত গরমে গর্তে আশ্রয় নেয়।

কিছু লোকজ বিশ্বাসে মনে করা হয়, সান্ডার চর্বি থেকে তৈরি তেল বিভিন্ন রোগে উপকারী। যদিও এসব দাবির পেছনে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুবই দুর্বল, তা সত্ত্বেও এই ভুল ধারণার কারণে সান্ডা অনেক জায়গায় শিকার হচ্ছে এবং তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।

-অংকিতা রায় চৌধুরী