নিজের ইচ্ছাকে পূরণ করার জন্যে সেভেন সামিট জয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছেন প্রবাল বর্মণ। পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতচূড়াকে একত্রে ‘সেভেন সামিট’ বলা হয়। গত ৩১ মে ঢাকার পান্থপথে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিযান পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ২০২১ সালে যখন তিনি করোনায় আক্রান্ত হন, তাঁর প্রায় ৮০ শতাংশ ফুসফুস সংক্রমিত হয়ে পড়েছিল। তখন হাসপাতালে অবস্হানরত অবস্থায় নিজের মধ্যে থাকা ইচ্ছেগুলো পূরণ করার উপলব্ধি করেন। তারপর সুস্থ হওয়ার পর পরই তিনি শুরু করেন দৌড়, সাইক্লিং,সাঁতারসহ নানা রোমাঞ্চকর কর্মকান্ড। পাড়ি দিতে থাকেন দেশের দুর্গম পাহাড়, হেঁটে যান টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, এভারেস্ট বেজক্যাম্প ও আইল্যান্ড পিকে অভিযান করেন, সাঁতরে পাড়ি দেন বাংলা চ্যানেল। একজন পর্বতারোহী হয়ে ওঠার জন্য তিনি ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন।
আজ সেই পর্বত জয় করতেই শুরু করতে যাচ্ছেন ‘ মিশন সেভেন সামিট ‘ । প্রবাল বর্মণের তথ্যানুসারে গত ২ জুন তিনি বাংলাদেশ থেকে তানজানিয়ার উদ্দেশ্যে প্রস্থান করেন এবং ৪ জুন থেকে মূল অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযানের জন্যে তিনি চার বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারো দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছেন এ অভিযান। প্রবাল বর্মণের সাথে থাকবেন তাঁর দুই সহযাত্রী চিন্ময় সাহা ও শায়লা শারমিন। তাঁর এ অভিযানে সহযোগীতা করছেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
১৯৮৫ সালে আমেরিকার পর্বতারোহী রিচার্ড বাস প্রথম সেভেন সামিট অভিযান সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ থেকে প্রথম সেভেন সামিট জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।তিনি ২০১১ সালে এ অভিযান শুরু করেন এবং ২০১৫ সালে তা সম্পন্ন করেন।
প্রবাল বর্মণ মনে করেন,’মানুষের স্বপ্ন দেখার সক্ষমতা শারীরিক সক্ষমতার চেয়েও শক্তিশালী ‘। এই ভাবনাই তাঁকে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
– রিয়া আক্তার





