বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ অনুযায়ী, ১ জুন ২০২৫ থেকে বাজারে চালু হয়েছে নতুন ডিজাইনের ১০০০, ৫০ এবং ২০ টাকার ব্যাংক নোট। শুরুতে এসব নোট বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে সরবরাহ শুরু হয় এবং এখন ধাপে ধাপে অন্যান্য কার্যালয় থেকেও বিতরণ করা হচ্ছে।
নতুন এসব নোটে ডিজাইন ও প্রতীকে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। পাশাপাশি চলমান সব ধরনের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা যথারীতি চালু রয়েছে।
নমুনা নোট সংগ্রহের সুযোগ
মুদ্রা সংগ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নমুনা নোটও ছাপানো হয়েছে, যা বিনিময়যোগ্য নয়। এসব নমুনা সংগ্রহ করা যাবে মিরপুরের টাকা জাদুঘর থেকে নির্ধারিত মূল্যে।
১০০০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য
আকার: ১৬০ মিমি x ৭০ মিমি
মুদ্রণ কাগজ: শতভাগ সুতি
জলছাপ: রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ
প্রধান রং: বেগুনি
ডিজাইন: সামনে রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি এবং পেছনে জাতীয় সংসদ ভবনের চিত্র। ব্যাকগ্রাউন্ডে শাপলা ফুলের চিত্র রয়েছে।
নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: মোট ১৩টি, যার মধ্যে ৫ মিমি প্রশস্ত নিরাপত্তা সুতা উল্লেখযোগ্য। নোট নাড়াচাড়া করলে সুতার রং লাল থেকে সবুজে পরিবর্তিত হয়।
৫০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য
আকার: ১৩০ মিমি x ৬০ মিমি
মুদ্রণ কাগজ: শতভাগ সুতি
জলছাপ: রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ
প্রধান রং: গাঢ় বাদামি
ডিজাইন: সামনে আহসান মঞ্জিল এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে শাপলা ফুল। পেছনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ‘সংগ্রাম’ চিত্রকর্ম।
নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: মোট ৮টি, যার মধ্যে ২ মিমি প্রশস্ত নিরাপত্তা সুতা এবং আলোতে দৃশ্যমান ‘৫০’ চিহ্ন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
২০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য
আকার: ১২৭ মিমি x ৬০ মিমি
মুদ্রণ কাগজ: শতভাগ সুতি
জলছাপ: রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ
প্রধান রং: সবুজ
ডিজাইন: সামনে কান্তজিউ মন্দির এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে শাপলা ফুল। পেছনে রয়েছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের চিত্র।
নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: মোট ৫টি, যার মধ্যে ২ মিমি প্রশস্ত নিরাপত্তা সুতা এবং আলোতে দৃশ্যমান ‘২০’ সংখ্যা অন্যতম।
প্রচলন ও আর্থিক প্রভাব
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন নোট প্রবর্তনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ছেঁড়া ও পুরোনো নোটের ঘাটতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। গত কয়েক মাসে নতুন নোট সরবরাহে ঘাটতির কারণে বাজারে পুরোনো নোটের আধিক্য দেখা যায়। নতুন নোট প্রচলনের ফলে এ অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
– অংকিতা রায় চৌধুরী





