সাম্প্রতিক খবর

আন্তর্জাতিক ‌‌এমএস‌এম‌ই দিবস -২০২৫

বিশ্ব অর্থনীতিতে বৃহৎ শিল্প ও সুবিশাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পৃথিবীর বেশিরভাগ উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এস‌এম‌ই) এর অবদান অনস্বীকার্য । দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানুষের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে প্রয়োজন পণ্য ও সেবার উৎপাদন। যা দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এই চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ জুন “বিশ্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প” দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। এস‌এম‌ই শব্দসংক্ষেপ দ্বারা সাধারণত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগকে বোঝায় । তবে এতে কটেজ ইন্ডাস্ট্রি বা কুটির শিল্প এবং মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি বা অতি ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই একে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এম‌এস‌এম‌ই ) বলা হয়ে থাকে। যা জাতিসংঘের “টেকস‌ই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” অর্জনে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। ২৭ জুন দিনটিকে এম‌এস‌এম‌ই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর স্মল বিজনেস (আইসিএসবি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশে এস‌এম‌ই ফাউন্ডেশন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২০ সাল থেকে ২৭ জুন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দিবসটি পালন করে আসছে। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি যেমন আলোচনা সভা ও সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা,মেলা ও প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এই দিবসটি জনগণকে এস‌এম‌ই খাতের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং এর উন্নয়নে সবাইকে উৎসাহিত করে থাকে।

২০২৫ সালের বিশ্ব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো – “টেকস‌ই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের চালিকাশক্তি হিসেবে এম‌এস‌এম‌ই খাতের ভূমিকা সুদৃঢ়করণ”

-রিয়া আক্তার