সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে উৎসর্গ করে শুরু হয়েছিলো দশদিনের ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৬’। এ আয়োজনে তার মৌলিক ও অনুবাদ করা পাঁচটি নাটকের প্রদর্শনী হয়েছে ।
উৎসবে স্থান পাওয়া সৈয়দ হকের লেখা নাটকগুলো হলো- থিয়েটারের (বেইলি রোড) ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, প্রাঙ্গণেমোরের ‘ঈর্ষা’, চারুনীড়মের ‘ডেড পিকক’, নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘ম্যাকবেথ’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় উৎসব উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের উদ্যোগে পঞ্চমবারের মতো এর আয়োজন করা হয়েছে।
আজ ছিল এই আয়োজনের শেষ দিন। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মামুনুর রশীদ। উৎসবের আয়োজন গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মান্নান হীরা, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি শিল্পী মিনু হক ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ। ধন্যবাদ জানান আয়োজক পর্ষদের সদস্যসচিব আকতারুজ্জামান।
৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এবং নৃত্য ও সংগীত মিলনায়তনে ভারতের তিনটি, ঢাকার ২৫টি ও ঢাকার বাইরের দু’টিসহ ৩০টি নাট্যদলের মঞ্চনাটক মঞ্চায়ন হয়। এ ছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে পরিবেশন করা হয় ৫৩টি সংগঠনের আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও পথনাটক। এবারের উৎসবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সহযোগিতা করেছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।





