সাম্প্রতিক খবর

দোল পূর্ণিমায় হৃদয়ে রঙ,প্রাণে উৎসব

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উদযাপিত হচ্ছে আজ ১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার। ফাল্গুন ও চৈত্র মাসের সংযোগস্থলে, পূর্ণিমার দিন এই উৎসব পালিত হয়। এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধার প্রেম ও ভক্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

দোল পূর্ণিমা মূলত বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও এটি এখন সব বয়সী ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধা ও গোপীদের সঙ্গে রঙের খেলায় মেতে উঠেছিলেন। সেই থেকেই এই উৎসবের প্রচলন।পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই দিনেই ভগবান নারায়ণ ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করতে দুষ্ট হোলিকাকে পরাস্ত করেছিলেন। সেই থেকেই এই উৎসব অশুভ শক্তির বিনাশ ও কল্যাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশে দোল পূর্ণিমা মূলত মন্দিরকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনা, প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা দিয়ে শুরু হয়। সকালে ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের ও শ্রীরাধার প্রতিমা দোলায় স্থাপন করে শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এরপর নানা বর্ণের আবির ও রঙের খেলায় মেতে ওঠেন, যা আনন্দ ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।
বিশেষ করে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবস হিসেবেও এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই দিন ভগবানের নাম সংকীর্তন করে, আনন্দ উল্লাসে রঙ খেলায় মেতে ওঠে এবং পরস্পরের প্রতি শুভকামনা জানায়।
দোল পূর্ণিমা শুধু রঙের খেলা নয়, এটি ভালোবাসা, আনন্দ ও সম্প্রীতির এক অপরূপ উৎসব। এই দিনে সকলের মাঝে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়, যা আমাদের সমাজকে আরও মজবুত করে তোলে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে, যাতে আমাদের সমাজ আরও সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

– অংকিতা রায় চৌধুরী