খেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহর অনেক কিছু বলার আছে

এলেন, দেখলেন, জয় করলেন! মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য ব্যাপারটা মোটেও তেমন ছিল না। বল যায় পুরোটাই উল্টো। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে যাওয়া, কোথায় খেলবেন সে নিয়ে শঙ্কা এরপর খেললেও তিনি রান পাবেন তো, বল করতে পারবেন তো, বাজে ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ তো ছিলই। সব একপাশে ছুড়ে মাহমুদ দেখালেন ফুরিয়ে যাননি।

দলকে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জেতাতে পারেননি বটে, খেলেছেন ১১১ বলে ১১১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি শতক ছোঁয়ার মুহূর্তে দুই হাত ওপরে তুলে দৌড়ে আনন্দে ভাসেন। মাইলফলক ছুঁয়ে দিয়েছেন চিরাচরিত সেই লাফ। দলের হার নিশ্চিত, এমন মুহূর্তে দাঁড়িয়েও তার এই উদযাপন বলে দেয়, কতটা কাঙ্ক্ষিত ছিল এই ইনিংস।

ম্যাচ শেষে মাহমুদ অবশ্য কারণ জানাতে বেশ কৌশলী পথে হাঁটলেন, ‘না কোন প্রতিবাদের ভাসা ছিল না। সেঞ্চুরি হয়েছে। এটা শুধু উদযাপন ছিল। যদি জিততে পারতাম তাহলে বুনো উল্লাস করতাম।
বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ থাকবেন না, এমনই আলোচনা ছিল দল ঘোষণার আগে। তার জায়গায় অনেক ক্রিকেটারকে বাজিয়ে দেখে বিসিবি। সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। সেজন্যই ফিরতে পেরেছেন তিনি। ‘বিশ্রাম’-এর নামে দল থেকে বাদ পড়ে কঠিন সময় পার করেছেন।

সে সময়গুলো নিয়ে অনেক কিছু বলতে চান মাহমুদ।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যা সময় কেটেছে ভালো কেটেছে, কিছু বলতে চাইছি না। যদিও অনেক কিছু নিয়ে বলতে চাই। কিন্তু এটা সঠিক সময় না। আমার লক্ষ্য ছিল শুধুই দলের জন্য খেলা, অবদান রাখা। আমার ক্যারিয়ার জুড়েই আমি অনেক আপস অ্যান্ড ডাউন দেখেছি। ইটস ফাইন।’

যারা তার দুঃসময়ে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই অলরাউন্ডার। মাহমুল বলেন, ‘যারা আমাকে ওই সময় সাপোর্ট করেছেন, আপনাদের মধ্য থেকে। তাদের ধন্যবাদ। আর যারা করেননি তাদেরও ধন্যবাদ।’

-দুরন্ত ডেস্ক