জানার আছে অনেক কিছু

ক্রিপ্টোগ্রাফি – Cryptography

ক্রিপ্টোগ্রাফি’ কে সহজ বাংলায় বলা হয় তথ্যগুপ্তিবিদ্যা বা গুপ্তলিখনবিদ্যা। শব্দটা এসেছে দুইটা গ্রিক শব্দ kryptós এবং graphein থেকে। kryptós থেকে এসেছে ‘crypto’, যার অর্থ হচ্ছে লুকানো এবং graphein থেকে এসেছে ‘graphy’, যার অর্থ হচ্ছে লেখা।

ক্রিপ্টোগ্রাফি হচ্ছে বিশেষ ধরণের যোগাযোগের পদ্ধতি যাতে করে গ্রাহক এবং প্রেরক, উভয়ের তথ্য তৃতীয় কোন পক্ষ থেকে গোপন থাকে।এটি বিজ্ঞানের নিরাপত্তা এলাকার একটি শাখা ।এতে তথ্য গোপন করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে গবেষণা করা হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফিতে মূলত এক প্রকার অ্যালগরিদমের উপর ভিত্তি করে সাইফার টেক্সট তৈরি করে। এটা মূলত একটি ম্যাথমেটিকাল ফাংশন। এই অ্যালগরিদম তৈরি হয় একটি পাবলিক ও প্রাইভেট কী এর উপর নির্ভর করে। এই কী হতে আরে কোন সংখ্যা কিংবা শব্দ। সাধারণত এলোমেলো সংখ্যা বা শব্দ কিংবা সংখ্যা শব্দের মিশ্রণে কী তৈরি হয়।ক্রিপ্টোগ্রাফি ডেটাটিকে এমন একটি ফর্ম্যাটে রূপান্তর করে যা অননুমোদিত ব্যবহারকারীর জন্য অপঠনযোগ্য, এটি অননুমোদিত সংস্থাগুলি এটিকে পুনরায় পঠনযোগ্য ফর্ম্যাটে ডিকোড করে প্রেরণ করার অনুমতি দেয়, এইভাবে ডেটা আপস করে।
ক্রিপ্টোগ্রাফি মূলত তিন প্রকার-
Symmetric (Secret) Key Cryptography
Asymmetric (Public) Key Cryptography
Hash Functions
আগের কালের ডিকশনারিতে ক্রিপটোগ্রাফিকে বলা হত – The art of writing and solving codes. এখানে ‘writing’ শব্দটা দ্বারা আসলে বোঝানো হয়েছে তথ্যকে লুকানো, যাকে ক্রিপটোগ্রাফির ভাষায় বলা হয় এনক্রিপটিং। আর যে প্রক্রিয়ায় এনক্রিপটিং করা হয় তাকে বলে এনক্রিপশন।
অনুরূপভাবে, ‘solving codes’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে লুকানো ডেটাকে পুনরুদ্ধার করা যাকে ক্রিপটোগ্রাফির ভাষায় বলা হয় ডিক্রেপ্টিং। আর যে প্রক্রিয়ায় ডিক্রেপ্টিং করা হয় তাকে বলে ডিক্রেপশন। অর্থাৎ এনক্রিপটেড ডেটাকে আবার plain text-এ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া হলো ডিক্রিপশন।

ব্র্তমানে গণিত, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং তড়িৎ প্রকৌশলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক তথ্যগুপ্তিবিদ্যার উপস্থিতি লক্ষনীয়। এটিএম কার্ড, কম্পিউটার পাসওয়ার্ড, বৈদ্যুতিন বাণিজ্য বা ই-কমার্স- এর ক্ষেত্রে তথ্যগুপ্তিবিদ্যার ব্যবহারিক প্রয়োগ রয়েছে।
(তথ্যসূত্র – ইন্টারনেট)

– রিজওয়ান আহমেদ রিয়ান, বিশেষ প্রতিনিধি

Leave a Reply