বিজ্ঞান রহস্য

গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ

গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশে তাকিয়েই গ্যালিলিও চাঁদের বুকে পাহাড়-পর্বত পর্যবেক্ষণ এবং পৃথিবীর সাথে এর সাদৃশ্য অনুধাবন করেছিলেন। বৃহস্পতি গ্রহের চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করে এবং বৃহস্পতির চারপাশে এগুলোকে ঘুরতে দেখে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আমাদের পৃথিবী বিশেষ কোনো অনন্য সাধারণ স্থান নয়, বরং মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুগুলোকেও আবর্তনকারী অনেক বস্তু রয়েছে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এই উপলব্ধিও তিনি এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেই অর্জন করেন।

অনেকের ধারনা আছে গ্যালিলিও টেলিস্কোপ উদ্ভাবন করেছেন। কিন্তু এটি ঠিক নয়। ১৬০৮ সালে প্রথম টেলিস্কোপ তৈরি করেছিলেন জার্মান-ডাচ চশমা প্রস্তুতকারক হ্যান্স লিপারশে। এই যন্ত্রটির নাম প্রথমে টেলিস্কোপও ছিলো না। বরং লিপারশে এর নাম দিয়েছিলেন Dutch perspective glass। তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো দূরের জিনিস দেখা যেন সেসব কাছেই অবস্থিত বলে মনে হয়। গ্যালিলিও এই যন্ত্রটির খবর পেয়ে এটিকে মহাকাশ পর্যবেক্ষণে ব্যবহারের কথা ভাবেন এবং লিপারশের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে, ১৬১০ তিনি ডিজাইনটি একটু উন্নততর করে নিজের টেলিস্কোপটি তৈরি করেন। এই টোলিস্কোপের মাধ্যমে বৃহস্পতির চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেই প্রথম পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ করে দেন যে সবকিছু পৃথিবীর চারদিকে কেন্দ্র করে ঘোরে না, বরং আকাশে এমন বস্তু আছে যা আকাশের অন্য বস্তুকে কেন্দ্র করেও ঘোরে। এই ধারনা বাইবেলের ধারনার সাথে মেলে না বলে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো।

দুরন্ত প্রতিনিধি-চৈতি দাস অদিতি

Leave a Reply