৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, প্রবল মাত্রায় আফটারশকের আশঙ্কা আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে প্রায় গোটা বাংলাদেশ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কম্পনের কেন্দ্র ছিল ভূমির মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে, যা কম্পনের তীব্রতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) কম্পনের মাত্রা ৫.৫ রিখটার স্কেল হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় নাগরিকেরা তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেন। আতঙ্কে বহু মানুষ ভবন থেকে ছুটে বাইরে বের হয়ে আসে।
বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করা বুয়েটের ভূ–কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, “বাংলাদেশ ভূমিকম্পঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায় এমন কম্পনের আশঙ্কা আগেই ছিল। মাত্রা ৬–এ পৌঁছালে বহু ভবনের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হবে।” তিনি জানান, বড় ভূমিকম্প সাধারণত ১৫০ বছর অন্তর পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে, আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে “ফিরে আসার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার আজকের ভূমিকম্পকে “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এযাবৎকালের মধ্যে সর্বাধিক তীব্র অনুভূতিশীল ঝাঁকুনি” বলে মন্তব্য করেন। তার মতে, ইন্দো–বার্মা টেকটোনিক প্লেটের চাপ বৃদ্ধি এই অস্বাভাবিক তীব্রতার কারণ।
আফটারশকের ঝুঁকি সর্বোচ্চ: সিসমোলজিস্টদের মতে, বড় ভূমিকম্পের পর প্রথম ২৪ ঘণ্টা থাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময়। সাধারণত ৫.২ থেকে ৬ মাত্রার আফটারশক হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আজকের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল অত্যন্ত অগভীর, যা আফটারশকের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়েছে।যদিও নির্দিষ্ট সময় বা অঞ্চল নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, তবুও তারা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।





