আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে আগামীর নতুন সূর্য। আর এই শপথ নিয়ে কিছু তরুণের হাতে গড়ে উঠছে সেই আগামীর ভবিষ্যৎ।
সমাজে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা ভেবেই নিজেদের উদ্যোগে শুরু হয় “বিদ্যাঙ্গন স্কুল” নামে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল। যাএা শুরু হয় শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে । তবে সরকারিভাবে নয়, স্বপ্নবাজ এক দল তরুণ যারা পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তুলেছে এই স্কুলটি ।
শুক্রবার ময়মনসিংহ নগরীর ‘বিপিন পার্ক’ সংলগ্ন ওই স্কুলের ৩০ শিশুর মাঝে বই বিতরণ করা হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক এ আর এম মুজাহিদুল হক, সিবিএসটি কলেজের বিবিএ বিভাগের প্রভাষক জাফর উল্লাহ খান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা ইউনিটের ইনচার্জ রবিউল ইসলাম এবং যমুনা টেলিভিশনের ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান হোসাইন শাহীদ। সকলেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং আগামী দিন এর শুবেচ্ছা জানান এবং সাহায্য সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এসময় “বিদ্যাঙ্গন স্কুল” এর প্রধান উদ্যোক্তা সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে পরম মমতায় বন্ধুর মতো পাশে থেকে খেলার ছলে তাদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে আমাদের এ প্রয়াস। সেইসঙ্গে তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলা, মাদক থেকে দূরে রাখা, প্রতিটি শিশু স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে যেন দাঁড়াতে পারে এমন কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
তারা জানান ময়মনসিংহ কোন শিশু শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকবেনা। এসময় আরো অনেকেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন – স্কুলের উদ্যোক্তা রাফি, নীরপ, রিয়াদ, রুমি, ফাহিম, আতিক, রাজিব প্রমুখ। বক্তব্য শেষে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেন অতিথি ও স্বেচ্ছাসেবী তরুণরা। নতুন বই পেয়ে হৈ-হুল্লোরে মেতে ওঠে কোমলমতি শিশুরা। আর শিশুরা জানে পড়াশোনা করে তারা একদিন ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক,উকিল ইত্যাদি হবে। চোখে – মুখে ফুটে উঠে আনন্দ আর উল্লাস এর অনুভূতি।
দুরন্ত প্রতিবেদক -আনিস মিয়া
ময়মনসিংহ সদর





