১৪ মে, বুধবার, ২০২৫। সকালটা ছিল একেবারে অন্যরকম। ইডেন মহিলা কলেজের বাস্কেটবল কোর্ট যেন পরিণত হয়েছিল এক টুকরো সংস্কৃতির মেলায়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অপরাজেয়’-এর পক্ষ থেকে, বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের স্মরণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন অনেক গুণী মানুষ। ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রবীন্দ্র গবেষক ড. নাভিন মুর্শিদ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পী সুস্মিতা রায় এবং অপরাজেয়র উপদেষ্টা নওশীন মুশতারিন সাথী।ইডেন কলেজের শিক্ষকরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যেমন অধ্যাপক নওশিন জাহান (জীববিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. আফরোজা (সমাজকর্ম) এবং সহকারী অধ্যাপক ফারহানা আফরোজ (উদ্ভিদবিজ্ঞান)।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কলেজের মাননীয়া অধ্যক্ষ ড. শামসুন নাহার-এর। তবে জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মেহফিল আরা। তিনি তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে রবীন্দ্র-নজরুলের সাহিত্য ও সংস্কৃতির অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে বলেন, “আমরা চাই, অপরাজেয়’র এমন আয়োজনে ইডেন কলেজ সবসময় মুখর থাকুক।”
তারপর শুরু হয় প্রতীক্ষিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। একক সংগীত, দলীয় রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, আর মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনায় একেকটা পরিবেশনা যেন দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে।
বক্তব্য দেন অপরাজেয়র উপদেষ্টা নওশীন মুশতারিন সাথী। তিনি দুই কবির নারীবিষয়ক ভাবনার কথা বলেন—কীভাবে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল নারী স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। ড. নাভিন মুর্শিদ রবীন্দ্রনাথের লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতা ব্যাখ্যা করেন, বিশেষ করে নারীর প্রতি তাঁর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি।
পুরো আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন অপরাজেয়’র সভাপতি প্রত্যয়ী প্রীতু। উপস্থাপনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সানজিদা হক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনিকা রায়।সবশেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় অপরাজেয়’র এই প্রাণবন্ত আয়োজন।
-অংকিতা রায় চৌধুরী





