সময়ের পালাবদল ও আধুনিক সময় কে পুঁজি করে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ অনেক ঐতিহ্য, হাট, ঘাট। কিন্তু সময় ও যুগের এর পালাবদল কে উপেক্ষা করে, নিজ জৌলুস এবং তেজ নিয়ে এখনো স্বগৌরবে রয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ এর সোনারগাঁ এর ২০০ কিংবা এর ও অধিক সময়ের বেশি টিকে থাকা, আদি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বট গাছের ছায়া তলে গড়ে ওঠা
কাইকারটেক হাট। কাইকারটেক হাটের প্রাচীন নির্দশন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষদের এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা দেয়। একটি ছোট মফস্বল এলাকা তে যে বৃহৎ পরিসরে হাট হতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ এটি। কালের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে বট, কড়ই, হিজল, কৃষ্ণচূড়া সহ অনেক বর্ষীয়ান গাছ । কাইকারটেক হাট সপ্তাহে একদিন রোজ রবিবার হাট বসে। এই হাটে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল কিছুই পাওয়া যায়। যেমন: গরু, ছাগল হাঁস ,মুরগি, কবুতর, খরগোশ, পাখি সহ বিভিন্ন গবাদিপশু । টিন, কাঠ, বাঁশ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বস্তু। রয়েছে গাছের চারা, নৌকা সহ নানান বস্তু। মুখরোচক খাবার এর এক অন্যান্য সমাহার কাইকারটেক ।এই হাটের কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার আছে যার মধ্যে “পুতা মিষ্টি” অন্যতম। পুতা মিষ্টি আকারে বড় , শিরা তে ভরপুর এবং খুবই সুস্বাদু হয়। অনেকের কাছে পুতা মিষ্টি না খেলে হাতে যাওয়া বৃথা মনে করে। এর সাথে আছে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার ।
রয়েছে বর্ষীয়ান ব্যক্তির কয়েক যুগের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হাতে বানানো বরফ কুচি, লেবু ও আখের গুড় দিয়ে বানানো সরবত। যা হাটের মানুষ দের পিপাসা মিটায়। তার সাথে বিস্কুট, চানাচুর, ভাঁজা – পুরী সহ অনেক কিছু । এই হাট এ গ্রাহক হিসাবে, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসে। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাট টি । যা নারায়ণগঞ্জ এর গৌরব।
– ইমরুল কায়েস





