খেলাধুলা

মিরপুরের উইকেট আর মুশফিকের আউট নিয়ে যা বললেন তামিম

মিরপুর শেরে-ই বাংলা স্টেডিয়াম হাতের তালুর মতো চেনার কথা তামিম ইকবালের। তা নিশ্চয়ই তিনি চেনেনও। তবে এদিন অন্য ভূমিকায় এসে তামিমের কাছে কি সবকিছু একটু অচেনা লাগল! অন্য ভূমিকাটা ধারাভাষ্যকারের। যেটা তিনি আগেও দিয়েছেন।

বিপিএলে এই মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের ধারাভাষ্যকক্ষেই।
তবু আজ প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাভাষ্য দিতে এসে প্রথমেই তামিম নিজের ‘অফিস’ খুঁজলেন। লিফট থেকে বের হয়ে মিডিয়া প্লাজার সামনে আসতেই মুখে হাসি নিয়ে জানতে চাইলেন, ‘আমার অফিস কোন দিকে।’ শেষ পর্যন্ত অফিসে গেছেন, আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার হিসেবে তামিমের অভিষেকও হয়েছে।

অভিষেকেই এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন, যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিরলই।
তামিম ধারাভাষ্য থাকা অবস্থায় বন্ধু-সতীর্থ মুশফিকুর রহিম ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের শিকার হয়েছে। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এমন আউট হয়েছেন মুশফিক। স্বাভাবিকভাবে এটা তামিমকে হতাশ করেছে।

প্রথমত, তখন বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ত, মুশফিকের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এই আইন সম্পর্কে জানা উচিত ছিল।
হতাশা লুকাননি তামিম, ‘এভাবে আউট হওয়া হতাশাজনক। ৮০টিরও বেশি টেস্ট খেলেছে মুশফিক। তাঁর জানা উচিত ছিল এটা করা যায় না।

নেট প্র্যাকটিসের অভ্যাস থেকে মুশফিক এমনটা করতে পারেন বলে মনে করেন তামিম। যেহেতু তখন ব্যাটারের পেছনে কেউ থাকে। শট খেলার পর অনেক সময় ব্যাটার নিজেই বল থামিয়ে দেন। তবে এসব যে কোনো অজুহাত হতে পারে না সেটাও জানিয়েছেন তামিম।
মিরপুরের উইকেটের প্রসঙ্গও এসেছে তামিমের কথায়। আজ প্রথম সেশন থেকেই স্পিনারদের বল লাটিমের মতো ঘুরছে। উইকেটও পড়ছে মুড়ি মুডকির মতো। সঙ্গী ধারাভাষ্যকার আতহার আলি খান মিরপুরের উইকেট নিয়ে তামিমের কাছে জানতে চাইলেন তিনি বলেন, ‘আমি মিরপুরে ১৭ বছর খেলেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত রহস্যটার উত্তর পাইনি যে এখানের উইকেটে কি হয়, কি চলে!’

-দুরন্ত ডেস্ক